বৈষ্ণব-পদাবলীর মূল উৎস শ্রীগীতগোবিন্দ ৷ কীর্তনের কথা বলিতে গেলেও শ্রীজয়দেব হইতে আরম্ভ করিতে হয়৷ জয়দেব মহাকবি, জয়দেব পরম ভক্ত, পরম প্রেমিক ৷ জয়দেব সঙ্গীতশাস্ত্রেও অভিজ্ঞ এবং প্রামাণ্য পণ্ডিত ছিলেন৷ শ্রীগীতগোবিন্দের প্রতিটি গানে তিনিই তাল ও রাগের নির্দেশ দিয়াছেন৷ বর্তমানকাল পর্যন্ত সেই ধারা চলিয়া আসিতেছে৷ জয়দেবের গীতগোবিন্দ সঙ্গীতজগতেও অসামান্য প্রভাব বিস্তার করিয়াছে৷ অনুমিত হয়, জয়দেব নিজেও সুগায়ক ছিলেন৷ জয়দেবের পূর্বে, সংস্কৃতে ও অপভ্রংশ-প্রাকৃতে রচিত নানা রসের ছোট ছোট কবিতা পাওয়া গিয়াছে৷
সৌভাগ্যবান্‌ সাধারণ বাঙ্গালীর খাদ্য —
ওগ্‌গর ভত্তা, রম্ভঅ পত্তা ৷ গাইক ঘিত্তা দুগ্ধ সজুত্তা ৷
মোইলি মচ্ছা,নালিচ গচ্ছা ৷ দিজ্জই কন্তা, খাই পুণবন্তা ৷৷
ওগরা ভাত, কলার পাতা, গাওয়া ঘি, ভাল দুধ, ম’য়ে (মৌরলা) মাছ, নালতে (পাট) শাক —কান্তা পরিবেশ করে, পুণ্যবান্‌ খায়৷ আমাদের দেশে একটা প্রবাদ চলতি আছে —’ঘরে যদি তেল থাকত, আর একটা টাকা ধার পেতাম, তা হলে আজ ফুলুরি ভেজে খেতাম৷’
অনুরূপ কবিতা —
সের একক জই পাবউ ঘিত্তা ৷ মংডা বীস পকাবউ নিত্তা ৷
টংকূ একক জউ সেধব পাআ ৷ জো হউ রংকো সো হউ রাআ ৷৷
এক সের ঘি যদি পাই, রোজ বিশটা মণ্ডা তৈরি করি ৷ এক টাকা ওজনের সৈন্ধব (লবণ) পেলে দরিদ্রও নিজেকে রাজা বলে মনে করে৷ (ঘৃত দিয়া তো মণ্ডা পাকান যায় না ৷ লাড্ডু তৈরি হয় বেশমে ৷ লেখক বোধ হয় পশ্চিমের লোক) ৷
বিরহিণীর বর্ণনা —
কাঅ হউ দুব্বল তেজ্জি গরাস ৷
খণে খণে জানিঅ অচ্ছ নিসাস ।৷
কুহু রব তার দুরন্ত বসন্ত ৷
নিদ্দঅ কাম কি নিদ্দঅ কন্ত ৷৷
দেহ দুর্বল হইয়াছে, (অন্ন) গ্রাস ত্যাগ করিয়াছে ৷ (সে যে বাঁচিয়া আছে) ক্ষণে ক্ষণে দীর্ঘশ্বাসই তাহা জানাইয়া দিতেছে ৷ (কোকিলের তারস্বরে) একটানা কুহুধ্বনিতে বসন্ত দুরন্ত হইয়া উঠিয়াছে ৷ মদন নির্দয় কি কান্ত নির্দয় ? (বুঝা যাইতেছে না) ৷
হেঁয়ালীতে প্রশ্নও ছিল (মিশ্র রচনা, সংস্কৃত ও অপভ্রংশ) —
শব্দঃ কঃ স্যাৎ পুরুষবচনং কুণ্ডলৌ কৌ স্মরারেঃ
কামাম্ভোধের্হরি রুদহরদ কী বীবধমৃচ্ছতীদম৷
হাণ্ডী কুণ্ডী আনেসি ন বড়া কীস অম্‌হার এত্থং
জো পুচ্ছিল্লা সে পুনু পুরুসা উত্তরং কীস দেই৷৷
পুরুষ শব্দ কি (না), শিবের দুইটি কুণ্ডল কি (অহি), শ্রীহরি জলধিজল হইতে কি উদ্ধার করিয়াছিলেন (কুম পৃথিবী), বাঁক কি চাহে (ভার), মুর্খ কেন ইহাতে আমার হাঁড়িকুড়ি আনিলি না? যাহাকে জিজ্ঞাসা করা হইল সে পুরুষ কি উত্তর দিল ? না-অহি = নাহি , কুম-ভার = কুমার ৷
নাহি কুম্ভার (কুমার নাই)
১২০৫ খ্রীষ্ট বর্ষে সঙ্কলিত সদুক্তিকর্ণামৃতে একটি শ্লোক পাইতেছি—
চলৎ কাষ্ঠং গলৎ কুড্যমুত্তানতৃণসঞ্চয়ম ৷
গণ্ডু পদার্থি মণ্ডুকাকীর্ণং জীর্ণং গৃহং মম ৷৷
কাঠের খুঁটি নড়িতেছে, মাটির দেওয়াল গলিয়া পড়িতেছে, চালের খড় উড়িয়া গিয়াছে, আমার জীর্ণ গৃহে এমন ব্যাঙের দল কেঁচো খুঁজিয়া বেড়াইতেছে ৷
খ্রীষ্টীয় অষ্টম শতকে বাঙ্গালী জনগণ আপনাদের রাজা নির্বাচন করিল শক্তিশালী যোদ্ধা ও শাসনকুশলী গোপালদেবকে ৷ ইঁহারই স্বনামধন্য পুত্র ধর্মপাল, ব্রাহ্মণ মন্ত্রী গর্গদেবের মন্ত্রণাকৌশলে সমগ্র উত্তরাপথে চক্রবর্তী পদবীতে সুপ্রতিষ্ঠিত হইলেন ৷ রাজ্যে শান্তি ও শৃঙ্খলা স্থাপিত হইল ৷ তাম্রশাসনাদি রচনায় সুকবি এবং স্থাপত্যে, ভাস্কর্যে, অঙ্কনে ও তক্ষণে সুদক্ষ শিল্পীরা আসিয়া দেখা দিলেন ৷ এই সময় হইতেই সারা উত্তর ভারতে শৌরসেনী অপভ্রংশের প্রভাব পরিলক্ষিত হয় ৷ কবিগণের রচনায় শৌরসেনী অপভ্রংশের সঙ্গে স্থানীয় মাগধী অপভ্রংশ মিশিয়া নূতন বাঙ্গালা ভাষার সৃষ্টি করিল ৷ বাঙ্গালী জৈন কবিগণ, বৌদ্ধ সিদ্ধচার্য ও সহজিয়াপন্থী সাধকগণ, নাথ ও শৈব যোগিগণ এই ভাষাতেই গ্রন্থ ও কবিতাদি রচনা করিতে লাগিলেন ৷ মহামহোপাধ্যায় আচার্য হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল রাজকীয় গ্রন্থাগার হইতে বৌদ্ধগান ও দোঁহার পুঁথি আনিয়া হাজার বছরের পুরানো এক পুণ্যপীঠের আবিষ্কারপূর্বক তাহার উপর বঙ্গভারতীকে সুপ্রতিষ্ঠিত করিলেন৷ এই বেদীমূলে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়া পৃথিবী-বিখ্যাত ভাষাতত্ত্ববিদ ডক্টর শ্রীসুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় প্রমাণিত করিলেন, বাঙ্গালা ভাষার বয়স প্রায় সহস্র বৎসর অতিক্রম করিয়াছে৷
বৌদ্ধগান ও দোঁহাবলীর মধ্যে গোপনীয় সাধনসঙ্কেত আছে৷ সহজ আচারের অনেক গূঢ় রহস্য আছে ৷ বর্তমানে তাহার অর্থ নির্ণয় করা সাধ্যাতীত বলিলেও অত্যুক্তি হয় না ৷ টীকাকারগণের সাহায্যে যদিও বা কোন কোন সঙ্কেতের অর্থ আবিষ্কার করা যায়, বহু ক্ষেত্রেই তাহা প্রকাশ করিতে কুণ্ঠা বোধ হয়, রুচিতে বাধে ৷ অনেক দোঁহায় লোক-প্রচলিত উপমার ব্যবহার দেখিতে পাই ৷ ডোম, চাঁড়াল প্রভৃতি সম্প্রদায়গুলিকে দলে টানিবার প্রয়াস লক্ষিত হয় ৷ চর্যার সিদ্ধাচার্যের দল ব্রাহ্মণগণকে বেশ প্রীতির চক্ষে দেখিতেন না৷
একটি উদাহরণ —
নগর বাহিরে ডোম্বী তোহোরি কুড়িয়া৷
ছোই ছোই জাই সো ব্রাহ্মণ নাড়িয়া৷৷
ওগো ডোমনী, নগরের বাহিরে তোর কুঁড়ে-ঘর ৷ ব্রাহ্মণ নাড়িয়া সেখানে ঘন ঘন যাতায়াত করে ৷ (ছোঁক ছোঁক করিয়া ঘুরিয়া বেড়ায়৷)
মীননাথের একটি দোঁহা —
কহন্তি গুরু পরমার্থের বাট ৷
কর্ম কুরঙ্গ সমাধি কপাট ৷৷
কমল বিকশিল কহই ন ডামরা ৷
কমল মধু পিবি ধোকে না ভমরা ৷৷
গুরু পরমার্থ পথের কথা কহিতেছেন ৷ সমাধি কবাট দিলে সে পথে কর্ম-হরিণ আর যাইতে পারিবে না ৷ পদ্ম প্রস্ফুটিত হইলে, শামুক কাহাকেও বলে না (অর্থাৎ শামুক পদ্মের নিকটে থাকিয়াও কোন খবর রাখে না, তাহার মর্ম বুঝে না)৷ কিন্তু সেই পদ্মের মধু পান করিতে ভ্রমরের কোন দিন ভুল হয় না ৷
একটি কবিত্বময় চর্যাগীতি উদ্ধৃত করিতেছি ৷
উঁচা উঁচা পাবত তঁহি বসই সবরী বালী ৷
মোরঙ্গী পিচ্ছ পহিরণ সবরী গীবত গুঞ্জর মালী ৷৷
উনত সবরো, পাগল সবরো মা কর গুলি
গুহাড়া তোহারি ৷
নিঅ ঘরিণী নাম সহজ সুন্দরী ৷৷
নানা তরুবর মোউলিল রে গঅণত,লাগেলী ডালী ৷
একেলী সবরী এ বন হিণ্ডই কর্ণ কুণ্ডল বজ্রধারী ৷৷
তিঅ ধাউ খাট পাড়িলা সবরো মহাসুহে সেজি ছাইলী ৷
সবরো ভুজঙ্গ নৈরামণি দারী পেম্‌হ রাতি পোহাইলি ৷৷
হিঅ তাঁবোলা মহাসুহে কাপূর খাই ৷
সুন নৈরামণি কণ্ঠে লইয়া মহাসুহে রাতি পোহাই ৷৷
গুরুবাক্‌ পুচ্ছিআ বিন্ধ নিঅ মণ বাণে ৷
একে শরসন্ধানে বিন্ধহ বিন্ধহ পরম নিবাণে ৷৷
উমত সবরো গরুআ রোষে ৷
গিরিবর সিহর সন্ধি পইসন্তে সবরো লোড়িব কৈসে ৷৷
উচ্চ উচ্চ পর্বত, শবরী বালিকা সেইখানে বাস করে ৷ শিরে তাহার ময়ূরপুচ্ছ, গলদেশে গুঞ্জামালা৷ উন্মত্ত শবর পাগল শবর গোল করিও না ৷ তোমার গোহারি (তোমাকে বিনয় করি) ঐ তোমার নিজ ঘরণী, নাম সহজ সুন্দরী ৷ নানা তরুবর মুকুলিত হইল, গগন ছুঁইল তাহার তাল ৷ কর্ণকুণ্ডল ব্রজধারিণী শবরী একাকিনী সারা বন তোড়পাড় করিতেছে ৷ তিন ধাতুর খাট পড়িল (সত্ত্ব রজ তম অধঃকৃত হইল) তাহার উপর শবর শয্যা বিছাইল ৷ শবর নায়ক, নৈরামণি দারা (প্রণয়িনী), প্রেমে রাত্রি পোহাইল ৷ হৃদয় -তাম্বুলে (নিষ্ঠা) কর্পূর মিশাইয়া মহাসুখে খাইয়া শূন্যারূপিণী নৈরামণিকে কণ্ঠে লইয়া মহাসুখের রাত্রি যাপন করিল ৷ গুরুবাক্যরূপ ধনুতে (সাধনারূপ) বাণ জুড়িয়া মন বিদ্ধ কর৷ ঐ একাগ্রতার শরসন্ধানে পরম নির্বাণকে বিদ্ধ কর ৷ উন্মত্ত শবর গুরুয়া রোষে (একাগ্র নিষ্ঠায়) গিরিবর শিখর (তীব্র সাধনায়) সন্ধিতে প্রবেশ করিল, কেমন করিয়া ফিরিবে?
লক্ষ্য করিয়াছি, অপভ্রংশ কবিতার অন্ত্য মিল প্রায় সাধারণ প্রথা ৷ উদ্ধৃত কবিতাটি আদিরসের কবিতা ৷ আদিরসের আবরণে, তাহার মধ্যে গূঢ় সাধনসঙ্কেত অনুস্যূত রহিয়াছে ৷ জয়দেব এই ছন্দ ও অন্ত্যানুপ্রাসকে আত্মসাৎ করিয়া, সাধনসঙ্কেত নিহিত রাখিয়া উৎকৃষ্ট সংস্কৃত গীতিকাব্য রচনা করিয়াছিলেন—শ্রীগীতগোবিন্দ ৷ তাহারও অন্তরে বাহিরে আছে আদিরস, উজ্জ্বলরস—অপ্রাকৃত প্রেমরসায়ন ৷ সমসাময়িক অনাচার ব্যভিচারের প্রতিবাদে কামগরল প্রশমনের অমৃতধারা বিতরণ করিয়াছিলেন জয়দেব—বিতরণ করিয়াছিলেন বৃন্দাবনবার্তা ৷ ভক্ত কবি, প্রেমিক কবি, পদ্মাবতীরমণ জয়দেবই অপ্রাকৃত চিন্ময়ধাম শ্রীবৃন্দাবনের সন্ধান দান করিয়াছিলেন?
প্রসঙ্গত একটা কথা বলা প্রয়োজন মনে করিতেছি৷ অন্ত্যানুপ্রাসযুক্ত মিলাত্মক কবিতার কথা সংস্কৃত কবিদেরও অজ্ঞাত ছিল না৷ জয়দেবের প্রায় শতাধিক বৎসর পূর্বে সুদূর কাশ্মীরের কবি ক্ষেমেন্দ্র স্বপ্রণীত দশাবতারচরিতে গোপীদের বিরহগীতি রচনা করিয়াছিলেন যেন জয়দেবেরই পূর্বসূরিরূপে ৷
ললিত বিলাস কলা সুখ খেলন ললনা লোভন শোভন যৌবন
মানিত নবমদনে ৷
অলিকুল কোকিল কুবলয় কজ্জল কাল কলিন্দ সুতামিব লজ্জল
কালিয় কুল দমনে ৷৷
কেশি কিশোর মহাসুর মারণ দারুণ গোকুল দূরিত বিদারণ
গোবর্দ্ধন ধরণে ৷
কস্য নয়ন যুগং রতি সঙ্গে মজ্জতি মনসিজ তরল তরঙ্গে
বররমণী রমণে ৷৷
সুতরাং জয়দেব অপভ্রংশ কবিতার রীতিনীতি আত্মসাৎ করিয়াছিলেন ইহাও যেমন অনুমান, তেমনই দশাবতার-চরিত হইতে তিনি প্রেরণা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন একথাও অনুমানে কোন বাধা নাই ৷ কিন্তু এই সব তথ্য জয়দেব – মাহাত্ম্য বিন্দুমাত্র খর্ব করিতে পারে না ৷ শুধু ভারতীয় সাহিত্য নয়, পৃথিবীর সাহিত্যেও জয়দেবের তুল্য প্রতিভার সাক্ষাৎ পাওয়া যায় না ৷ ছন্দ-নৈপুণ্যে, ভাষার কারুতায় ও চারুতায়, ভাবের প্রাবল্যে, রসের প্রাচুর্যে, ব্যঞ্জনার ঐশ্বর্যে শ্রীগীতগোবিন্দ দ্বিতীয়-রহিত গীতিকাব্য ৷ শ্রীগীতগোবিন্দ বৈষ্ণব-সিদ্ধান্তের মণিমঞ্জুষা, তথা অধ্যাত্ম্যতত্ত্বের রত্নসম্পুট ৷ শ্রীগীতগোবিন্দ রাধা পারম্যবাদের শ্রেষ্ঠ শাস্ত্র ৷ শ্রীকৃষ্ণের স্বয়ং ভগবত্তার প্রামাণ্যপুরাণ ৷ পরমপূজ্য জয়দেব আমাদের বন্দনীয় কবি ৷
প্রায় দেড় হাজার বৎসরের পূর্ববর্তী কবি কালিদাস বৃন্দাবনের কথা বলিয়াছেন রঘুবংশে ৷ ময়ূরপুচ্ছ-শোভিত গোপবেশ বিষ্ণুকেও তিনি স্মরণ করিয়াছেন মেঘদূতে ৷ কিন্তু জয়দেব কিছু নূতন কথা বলিয়াছেন ৷ ‘ধীর সমীরে যমুনাতীরে’, যমুনাতীরবর্তী ধীর-সমীরকুঞ্জের সংবাদ তাঁহার অজ্ঞাত ছিল না ৷ কবির আশ্চর্যজনক নূতন বার্তা ‘নামসমেতং কৃতসঙ্কেতম্‌’ শ্রীকৃষ্ণ শ্রীরাধার নাম লইয়াই বেণুধ্বনি করিতেন সঙ্কেত ছলে ৷ বংশীতে শ্রীরাধার নামই তিনি গান করিতেন ৷
গোদাবরীতীরে রায় রামানন্দের সঙ্গে সাধ্য-সাধন বিচারে শ্রীমন্‌ মহাপ্রভু শ্রীগীতগোবিন্দ গ্রন্থখানিকে শ্রীমদ্‌ভাগবতের সঙ্গে সমান মর্যাদায় একই আসনে প্রতিষ্ঠিত করিয়া গিয়াছেন ৷ গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায় এই গ্রন্থখানিকে প্রেমধর্মের সূত্রগ্রন্থরূপে পূজা করিয়া থাকেন ৷ কবি জয়দেব ও শ্রীগীতগোবিন্দ গ্রন্থের ভূমিকায় আমি এই বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা করিয়াছি৷ অনুসন্ধিৎসু পাঠক পড়িলে সমস্ত অবগত হইতে পারিবেন ৷