আগে কহিয়াছি পুরাণ-কথন
জেমত হইল কালা।
আর কহি সুন পুরাণ-কথন
ঐছন বাসের ধারা।।
আন অবতারে চারিবর্ণ রূপ
হইল গোলকপতি।
রক্ত বর্ণ দুহুঁ লইয়া আকার
রাখল জগত-ক্ষাতি।।
তথা তারপর হইলা সুন্দর
এ পীতবরণ কায়া।
সৃষ্টির পালন আন আন বহে
করল অনেক মায়া।।
তারপর পহুঁ গোলক-ঈশ্বর
শুকল রূপ ধরি।
সৃষ্টির পালক করল দমন
অসুর দহিল হরি।।
এবে কৃষ্ণ রূপ হঞা বাসিধর
করল অনেক খেলা।
গোপ গোপী যত করিলা অনাথ
তেজিয়া মাথুর গেলা।।
যবে নন্দঘরে জনম লভিল
রাখল জখন * * ।
সুন্যাছি আমরা জ্ঞানির মুখেতে
গর্গমুণি অবধান।।”
চণ্ডীদাস অতি বেথিত দেখিয়া
কহেন একটি বানি।
হেন মনে বাসি মাথুর তেজিয়া
ঘরে আল্য গুণমণি ।।