ঈষৎ হাসিয়ে রাই পানে চেয়ে
কহে বিনোদিয়া কান।
“তোমার মাধুরী মহিমা চাতুরী
ইহা কি জানয়ে আন।।
পরম দুর্লভ আনন্দ কৈশোর
নবীন কিশোরী রাধা।
হিয়ায়ে হিয়ায়ে মরমে মরমে
সদাই আছয়ে বাঁধা।।
তোমার কারণে নন্দের ভবনে
রাখিয়ে ধেনুর পাল।
গোলোক তেজিয়া গোকুলে বসতি
ইহাই জানিবে ভাল।।
তোমার নামের মধুর মাধুরী
নিরবধি করি পান।
তোমা বিনে নহে সুখের বৈভব
মনেতে নাহিক আন।।”
শ্যামের বচন শুনি চণ্ডীদাস
আনন্দে ভাসয়ে তথি।
এ রস-মাধুরী কে ইহা বুঝিবে
কাহার আছে শকতি ।।