“টল টল করে অঙ্গ মোর ঘুরে
চাইতে যমুনা-নদী।
নানা জন্তু আছে তারা জলে ভাসে
দেখহ পরাণ-নিধি।।
হেন মনে করে এবার কি জাব
কেন বা আইনু বিকে।
ভাল দূরে যাউ জীবন সংশয়
কি আর বলিব কাকে।।
এমন জানিলে তবে কি বাহির
আহীর-রমণী হয়ে।
এ কোন বিচার না জানি আচার
পরাণ লইতে চাহে।।
সব গোপীগণ হয়ে এক মন
পড়হ নেয়ার পায়।
সরস বচন করহ যতন
ওপারে রাখিয়া যায়।।
এবার ওপারে লইয়া চলহ
হেদে হে রসের কানু।
তোমার চরণে শরণ লইয়াছি
দিয়াছি আপন তনু।।
প্রাণের দোসর এ নব কৈশোর
তোমারে করিল দান।
এবার ওপারে লহ সবাকার
শুনহ নাগর কান।।”
হাসি বিনোদিয়া কহে সবা আগে–
“তবে সে করিব পার।
এ নব যৌবন কর অরপণ
তবে লাগাইব ধার।।”
চণ্ডীদাস কহে — “আকুল পরাণ
রাধার বিনতি দেখি।
অবলা-পরাণ দেখি ভয় লাগে
শুনহ কমলআঁখি ।।”