বদন নেহারি ঢর ঢর বারি
ও অঙ্গ বাহিয়া পড়ে।
নিশ্বাস হুতাশ ঘন ঘন দেখি
অতি সে করুণা-স্বরে।।
এ ক্ষীর-নবনী ছেনা সর আনি
দেওলি কানাই-মুখে।
যতন করিয়া পিয়াইছে রাণী
দূরে গেল যত দুখে।।
“কহ দেখি বাপু, আজু কোন বনে
চরাইলে সব ধেনু।
আজু কেন বাপু, শুনিতে না পাই
তোমার মোহন-বেণু।।
আন দিনে শুনি বেণু-রবখানি
আজু না শুনিতে পায়ে।
মনে উঠে কত বিষম সন্তাপ
শুনিলে থাকিয়ে জীয়ে।।
তখনি বলেছি যমুনা-নিকটে
রাখিও ধেনুর পাল।
আপনি যাইয়া তোরে দেখি গিয়া
তবে সে জুড়াই ভাল।।
এ ক্ষীর নবনী শাকর সেবনি
রাখিল যতন করি।
কোন শিশুগণে নিবার কারণে
না আইসে যতন করি।।
এই বড় দুখ নাহি হয় সুখ
উঠিল আগুন বড়।”
চণ্ডীদাস বলে– “রাণীর করুণা
বড়ই দেখিল দড়।।”