বাঁশী দূতিপনা কতেক প্রকারে
বাজল রসের তান।
তবু না আওল বৃষভানু-সুতা
রহল নিভৃত মান।।
বিনোদ নাগর হইলা কাতর
তেজিল সকল সুখ।
রাধা-পথ পানে চাহি ঘনে ঘনে
বাড়ল বিরহ-সুখ।।
খেণে কত বেরি উঠল মুরারি
সঘনে নিশ্বাস নাসা।
আলসে কাতর রসিক নাগর
না কহে একহি ভাষা।।
না জানি কোথারে পড়ল মাথার
পিঞ্চ-মুকুট-চূড়া
কোথা না পড়ল কটির ঘাগর
সে পীত বসন ধড়া।।
কোথা না পড়ল মণিময় হার
বলয়া বাহুর বালা।।
কোথা না পড়ল চূড়ার বন্ধন
সে নব গুঞ্জার মালা।।
কোথা না পড়ল মধুর মুরলী
নূপুর পড়ল কতি।
নয়ন বহত বহুতর বারি
চণ্ডীদাস দুখমতি।।