যে জানে ব্রজগোপীর মহাভাব, ও সে জেন্তে ম’রে কৃষ্ণপ্রেমের করিছে আলাপ।।
অনুরাগের জোরে বিধির কলম নাহি সে মানে,
বেদ-বেদান্ত দূরে রেখে করে প্রেমালাপ।।
গোপীর সনে গোপী হ’য়ে, রিপু ইন্দ্রিয় আসন ক’রে,
স্বরূপ নিষ্ঠা ক’রে ডোবে প্রেমেরই তরঙ্গে;কাম-কুম্ভীরে ধ’রে
পঞ্চবাণে তারে সংহারে, রস-রতি দিবারাতি করে তৌল-মাপ।।
বার তিথির বারুণীতে যোগেশ্বরীর মহাযোগে
রসের ভিয়ানে, পাত্র অন্তরে লয়ে, কৃতংপাক সেই রসিক করে;
ও সে গুরু-আত্মা শিষ্য-আত্মা করেছে মিলাপ।।
অটল হ’য়ে কৃষ্ণসেবা,মানে না সে দেবীদেবা,
প্রেমে মত্ত হ’য়ে থাকে নিহেতু নিহারে,
সাঁই হীরুচাঁদে কয়, সে প্রেম কি যারে তারে হয়,
পাঞ্জ রে তোর মুখের কথা, গেল না স্বভাব।।