যমুনা কিনারে

সহজহি আনন অছল অমূল

সহজহি আনন অছল অমূল।
অলকে তিলকে সসধর তূল।।
কা লাগি অইসন পসারল দেল।
জে ছল রূপ সেহেও দুর গেল।।
অছল সোহাওন কিতএ গেল।
ভূসন কএলে দূসন ভেল।।
দরসি জপাবএ মুনিজন আধি।
নাগর কা ও সহজ বেয়াধি।।
লিহলে উষলল অওছাড় ভার।
ভেটলে মেটত অছ পরকার।।

অন্তঃকথন:
রাধারানী অভিসার যাত্রা করবেন বলে অলক তিলকে সজ্জা করেছেন। কিন্তু দূতীর মনে হচ্ছে শ্রীমতীর নয়নভোলানো রূপ যেন সাজসজ্জার আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে। তাই তিনি রাধারানীকে বলছেন তোমার মুখ তো স্বভাবতই অমূল্য অলক তিলক দিয়ে তুমি তাকে চাঁদের মত করলে, অতুলনীয় তোমার মুখশ্রীকে অলকেতিলকে চাঁদের মত কলঙ্কযুক্ত করলে! কেন এমন করে সাজলে যাতে যে রূপ ছিল তাও গেল? তোমার অমন যে সৌন্দর্য ছিল তা কোথায় গেল? ভূষণ দিয়ে তুমি তাকে দূষিত করলে! তোমার রূপ দেখে মুনিজনেরও মনে আধি জন্মায়, মতিভ্রম হয় আর নাগরের মনে তো স্বাভাবিকভাবেই ব্যাধি হবে! দূতী বলতে চাইছেন তোমার রূপ দেখে মাধব এমনিই মোহিত হত, এমন নকল প্রসাধনের দরকার কি ছিল! তবে দেখা হলে আলিঙ্গনে সবই মুছে যাবে!

পদকর্তা:বিদ্যাপতি
রাগ:অজ্ঞাত
তাল:অজ্ঞাত
সংকলন:দেবহূতি সরকার

সন্ধিনী