“বন্ধু, কাহে না পায়ল বিন্ধু।
রসের সমুদ্র-কাছে মো সবার বসতি আছে
তুমি তাহে অনাথের বন্ধু।।
তুমি কৃপালু হয়া দিলেহ না দিলে দয়া
কি আর কহিব রাঙ্গা পায়।
এমন পীরিতি-রস মো সবা করিতে বশ
কবে হেন রসেতে না হয়।।
পীরিতি-সায়রে খুজি পাইলুঁ সেহেন নিধি
তাহা প্রভু নিজে কর পান।
সেই রসতত্ত্ব লাগি ভাবে ভক্তগণ যোগী
কারে হেন প্রীত কর দান।।
তুমি প্রভু দয়াময় কহিতে লাগয়ে ভয়
যদি পাই আজ্ঞা এক বাণী।
যবে প্রভু জন্ম নিবে গোকুলে নন্দের ঘরে
গুল্মলতা হইব সে আমি।।
ব্রজে যাবে গোচারণে লয়া বংশী শিশুগণে
নয়ন ভরিয়া যেন দেখি।
আর এক শুন প্রভু দয়া না ছাড়িহ কভু
মরমে মরমে যেন রাখি।।
সে নব কিশোরী সনে রাস-রস জাগরণে
শুনি যেন নপুরের তালি।
যবে ফিরি বনে বনে চাহিব চরণপানে
লাগে যেন চরণের ধূলি।।
তথির কারণে দেবা পাইব চরণ-সেবা
তেই মোরা লতা হৈতে আশে।”
আমার বাসনা এই নিশ্চয় কহিয় সেই
চরণে কহিছে চণ্ডিদাসে।।