অক্রূর চরণে পড়িয়ে করয়ে
স্তবন স্মরণ ধ্যান।
পরশ করিতে তাহার হৃদয়ে
লইল ব্রহ্মহি জ্ঞান।।
তুমি চক্রপাণি তুমি বেদধ্বনি
তুমি যে পরমকায়া।
যে জন স্তবনে না পায় ধেয়ানে
বুঝিতে না পারি মায়া।।
তুমি চন্দ্র আদি দিবাকর সিদ্ধি
তুমি ত ভুবনধাতা।
তুমি চরাচর তুমি সে আকাশ
তুমি যে দেবের কর্ত্তা।।
তুমি হুতাশন তুমি সে কারণ
তুমি সে করুণাসিন্ধু।
এ ভবসায়র করণ ধরম
তুমি সবাকার বন্ধু।।
বেদে দিতে নারে যাহার সীমা
অনন্ত সহস্র মুখে।
বলিয়া বলিতে না পারে বদনে
আন কি জানিব মোকে।।
তুমি বাসুদেব তুমি নারায়ণ
অচ্যুত অনন্ত হরি।
তুমি হৃষীকেশ তুমি দামোদর
তুমি সে ও বনমালী।।
* * * * * * * *
* * *
তুমি সে মাধব তুমি পুণ্যলাভ
তুমি পুণ্ডরীকধারী।।
তুমি জনার্দ্দন তুমি পুরুষোত্তম
কি জানি মহিমা তায়।
দেব অগোচর না হয় গোচর
চণ্ডীদাস গুণ গায়।।