“অঙ্গুলি ঘুরিয়া রাই মুরলী মধুর পূর
শুনি যেন শ্রবণ পূরিয়া।
দেহ ফুঁক ধীরে ধীরে অঙ্গুলি নাড়হ রাধে”
তাহে শ্যাম দিছে দেখাইয়া।।
“রাই, হের দেখ চেয়ে মোর পানে।
রন্ধ্রে রন্ধ্রে ‘ও’ রা-ধ্বনি করের অঙ্গুলি ঢাক
প্রথম রন্ধ্রেতে কর গান।।”
এ বোল শুনিয়া রাই শ্যামে-মুখপানে চাই
ফুঁক দিল সব রসগান ।
না উঠে কোনই গান ফাঁক ফুঁক পড়ে যেন
হাসি কানু না যায় ধরণ।।
পুনঃ কহে সুনাগর– “শুনহ নাগরী গৌরি
নহিল নহিল এ না গান।
পুনঃ দেহ দৃঢ় ফুঁক বাড়ুক অনেক সুখ
পুনঃ ধনী, পূরহ সন্ধান।।”
কানুর বচন শুনি বৃষভানু-নন্দিনী
কহে রাই বিনয়-বচনে।
“প্রথম মুরলী-শিক্ষা কেবল লয়েছি দীক্ষা”
দ্বিজ চণ্ডীদাস কিছু ভণে।।