আগে খেলে গুণী দশ অবতার
দেখহ নয়নে চাই।
খেলে নানা খেলা সেই পঞ্চবালা
এক দিঠে দেখে তাই।।
মৎস্য অবতার চারি ভুজধর
শঙ্খ চক্র গদা পদ্ম।
তার পর আর দেখায়ে গোচর
কুর্ম্মরূপ অনুসঙ্গ।।
তার পর আর হইল সত্বর
বরাহ আকৃতি কায়া।
আনন্দে মগন অন্তর হইল
দেখিয়ে বাজির ছায়া।।
নৃসিংহমুরতি হইল আকৃতি
শ্রবণ প্রতাপ বড়ি।
হিরণ্যকশিপু জানুতে ধরিয়ে
বিদারল নখে চিঁড়ি।।
নখেতে ছেদিল, হৃদয় ভিতর
টানিল একুশ নাড়ী।
হুহু হুহু স্বরে কম্পিত মেদিনী
দীঘল নিশ্বাস ছাড়ি।
তবে সে হইল বামন মূরতি
ত্রিপদ হইল কায়া।
বলিরে লইল পাতাল ভুবনে
দেখায়ে এ সব মায়া।।
তার পর হয় শ্রীরাম মূরতি
কাঁধেতে ধনুক শর।
সঙ্গেতে মৈথিলী জনকনন্দিনী
দেখি অতি মনোহর।।
তা দেখি রাজার মনে অতি সুখ
এ বড়ি মূরতি সুখ।
দেখিতে দেখিতে আর নহে চিতে
দূরে গেল অতি দুখ।।
পুন তা তেজিল আবেশ হইল
ভৃগুরাম অবতার।
শ্রবণ প্রতাপে বসুমতী কাঁপে
মাথায় জটার ভার।।
অতি খরশান টাঙ্গীর বাখান
নিঃক্ষেত্রি করিল এতে।
চণ্ডীদাস বলে অতি কুতূহলে
দেখি সুখ লাগে তাতে।।