আপন বসন ঘুচাই তখন
লেপয়ে কেশর মাটী।
তকল্লবি ছান্দে বসন পিন্ধে
রঙ্গে যে চলয়ে হাটি।।
মনোহর ঝুলি কান্ধে।
তাহার ভিতর শিকড় নিকর
যতন করিয়া বান্ধে।। ধ্রু।।
ঘুচাইয়া লাজে চিকিৎসক সাজে
বসিলা রোগীর কাছে।
ঘুচাই বসন নিরখে বদন
রোগ যে ইহার আছে।
বাম হাতে ধরি অঙ্গুলি মুড়ি
দেখে ধাতু কিবা বয়।
“পিরিতের রসে জারিয়াছে বিষে
পরাণ রহে না রয়।।”
হাসিয়া নাগরী উঠে অঙ্গ মোড়ি–
“ভাল যে কহিলা বটে।
বল কি খাইলে হইব সবলে
বেয়াধি কেমনে ছুটে।।”
“ঔষধ যে হয় মনে করি ভয়
এখনি খাওয়াইয়া যেতাম।
ভাল যে হইত জ্বর যে যাইত
যদি সে সময় পেতাম।।”
তখন নাগরী বুঝিলা চাতুরী
টীট সে নাগররাজ।
বাশুলী নিকটে চণ্ডীদাস রটে
এমন কাহার কাজ।।