আপন মন্দিরে পালঙ্ক উপরে
শুতিয়া আছিলু একা।
কাজল বরণ পুরুষ রতন
আসি দিল মোরে দেখা।।
নিশিদণ্ড ছয় ইহা বহি নয়
কহিল পহিল সাঁজ।।
সময় এমন দেখিলুঁ সপন
জাগিছে হিয়ার মাঝ।।
নয়ন সন্ধান যেন পাঁচ বাণ
মদন ধনুঞা ভুরু।
আজানুলম্বিত বাহু সুশোভিত
ও রাম কদলী ঊরু।।
অঙ্গের ভূষণ কর্পূর চন্দন
কণ্ঠে অরুণিমমাল।
ভাল রীতে তার না দেখিলুঁ আর
ননদী হইল কাল।।
সখি শপতি করিয়ে তোর।
তখন হইতে থির নহে চিতে
পুড়িছে পরাণ মোর।।ধ্রু।।
ননদী বচনে পাইলুঁ চেতনে
ভরমে কহিলুঁ বোল।
এ কবিশেখর পরম চাতুর
হাসিয়া করল গোল।।