“আরে মোর যাদুয়া দুলাল।
অনেক তপের ফলে এ ধন পেয়েছি কোলে
মধুপুরে হারাইল ভাল।।
ভাল হল যা করিলে দরিয়াতে ভাসাইলে
এ নহে তোমার ঠাকুরালি।
বাঢ়াইলে অতি প্রীত এবে কর অনুচিত
হিয়ায়ে আনল দিলে ভালি।।
বিরহ কঠিন বড় এ কথা জানিহ দঢ়
পরবশ না শুণিহ মনে।
উগারিয়া মধুরাশি প্রেম কৈলে অহর্নিশি
ইহা তুমি ঘুচাহ কেমনে।।
গোকুলের গোপিনীগণ আন সখা আন জন
* * * * * *
* * * *
যশোদা রোহিণী কান্দে তারা বুক নাহি বান্ধে
যবে আসি প্রবেশিলা পুরে।
আছে তারা পথ চাই কবে আসিবে কানাই
কবে দেখি নয়ন গোচরে।।
এ কথা শুনিব যবে তারা কি তিলেক জীবে
মরিব যে জলে প্রবেশিয়া।
না কর নিঠুরপনা শুন বাপু দুই জনা
রহা নহে জননী তেজিয়া।।”
দর দর প্রেমবারি চতুর মুরলীধারী
পূরব পড়িয়া গেল মনে।
পীতবাস করে ধরি আঁখির পুছয়ে বারি
দেখে বলরাম অভিমানে।।
কৃষ্ণের বদন পানে চাহি কান্দে বলরাম
দুঁহে মুছে নয়নের বারি।
চণ্ডীদাস কহে তায় কহিলে দৈবকী মায়
রহি হেথা চতুর মুরারি।।