আয়ান চতুর বড় সদা মাথা ঠার।
মায়ের সনে আইলা বনে
করিতে কথা দঢ়।।
হরিষ বিষাদ ভালমন্দ
মনে মনে গুণে।
রাইএর রীতি বুঝিতে তথি
বসিলা মণ্ডপ কোণে।।
শাশুড়ী আড়ে জানি ডরে
ভীত ভেল ধনি।
গায়ের বসন খসয়ে সঘন
না নিঃসরে বাণী।।
বিপদ অতি বুঝি তথি
কহে সকল নারী।
গোপত কথা বেকত হইল
এবে কিবা করি।।
রাধা কাতর ডরে বিকল
মনে বিচার করে।
দুষ্টমতি দেখি পতি
না জানি কি করে।।
কয় হে বটু হৈয়া কটু
ব্রহ্মচারী শ্যাম।
আয়ান ভেড়ে পালাক ডরে
ঐছে কর কাম।।
কানু তখন ভানু হৈয়া
ফুলের ভিতর যাইয়া।
যখন যেমন তখন তেমন
কহে কথা রৈয়া।।
শুন রাধা পতিব্রতা
কেনে কর স্তূতি।
বুড়ীর পাপে জ্বলিনু তাপে
মারিব তোমার পতি।।
কোলের কুমার স্বজন যত
গাই ভঞিষা আর।
ঝি জামাতা আনি হেথা
করিব ছারখার।।
অতি বটু করে চাটু
বসি দেবের ঘরে।
কর যোড়ে বেদ পড়ে
দেব মানাবার তরে।।
শেখর আগে বর মাগে
শুন দিবাকর।
সে না বুড়ি মরুক পুড়ি
রাখ রাধার ঘর।।