উলালী দুলালী সোহাগে আগলি
সাজায় যশোদা রাণী।
চিকুর চাঁচর মাজিল সুন্দর
বান্ধল বিচিত্র বেণী।।
কি না সে রাণীর সাধা।
নবীন বসনে ভূষণে মণ্ডিত
করল সুন্দরী রাধা।।ধ্রু।।
উদয় অরুণ- গরব গরাসি
সিঁথার সিন্দূর খানি।
তিলক অলক ললকে ঝলক
পলকে মোহয়ে মুনি।।
কাজলে সাজল নয়ন যুগল
মাজল সুন্দর মুখ।
ভুরুর ভঙ্গিমা বঙ্কিমা দেখিতে
কামের কাঁপয়ে বুক।।
নাসার উপর বিষম বেশর
নিশ্বাসে সঘনে দোলে।
পরম যতনে পুরুষরতনে
পরাণ সহিতে খেলে।।
কানে কানফুল অতুল অমূল
ছটায়ে ঘটায় রবি।
বাউল বিকল অনঙ্গে করল
রহল তাহাতে সেবি।।
চিবুক চিকণ কামের ভাজন
তাহাতে কস্তুরীবিন্দু।
দশন-বসন ভুবনমোহন
বচন অমিয়াসিন্ধু।।
চন্দনে চর্চ্চিত পরম পবিত্র
পীন পয়োধর জোড়।
কষিদ কাঁচলি তাহাতে ঝাঁপলি
বান্ধলি অতুল ডোর।।
প্রবালে প্রবল করল সকল
ভাল কাল পুঁতিজোতি।
হেম হীরা মণি বিচিত্র বিনানি
তাহাতে দেওল মোতি।।
সে যে যশোমতী পিরীতি মূরতি
রাইয়েরে করিয়া কোলে।
সে সব ভূষণ করিয়া যতন
দেয়ল তাহার গলে।।
হিয়ে হীরহার অতি মনোহর
তাহাতে পদক সাজে।
দেখি দিনমণি চতুর আপনি
কিরণ ঢাকল লাজে।।
রামা কামশালা শঙ্খ শশিকলা
শোভয়ে সে ভূজ আগে।
রতন কঙ্কণ রঙ্কণ ঝঙ্কণ
অনঙ্গে চমক লাগে।।
তাড় গাঢ় সাজ গতি কামরাজ
দেয়ল রাইক ভূজে।
বিপক্ষমর্দনী মুদ্রিকা খেচনী
অঙ্গুলি উপরে সাজে।।
জলদপটল- গরবগরাসি
পহিরে নীলিম বাস।
কিঙ্কণীশবদে জবদ করল
চটুল চটক ভাষ।।
মঞ্জীর পঞ্চম করিয়া যতন
শেখর পরায় পায়।
যশোদা রোহিণী সমুখে আপনি
সাজাওল সব গায়।।