একাদশী করি নিশি অবশেষে
স্নানে গেলা ব্রজপতি।
জলের মাঝারে বরুণের চরে
নন্দেরে হরিল তথি।।
এ বোল শুনিয়া নন্দের নন্দন
পিতার উদ্দেশ লাগি।
জলে ঝাঁপ দিয়া বরুণ-নিয়ড়ে
গেলা মনে দুখ জাগি।।
তাহা শুনি ধনী রাই সুবদনী
মরমে পাইয়া দুখ।
হা নাথ বলিয়া কান্দে ফুকারিয়া
না দেখিয়া চাঁদ-মুখ।।
ব্রজবাসিগণ করয়ে রোদন
ক্ষিতিতলে লোটাইয়া।
বিষাদ হেরিয়া উদ্ধব দাসের
বিদরিয়া যায় হিয়া।।