এক অদভুত সখি জনমিঞা নাঞি দেখি
হেন রামা কাহার নন্দিনি।
গিয়াছিলাম গোচারণে দেখিল কালিন্দি বনে
পুষ্প তুলি ফিরিছে কামিনি।।
কনকের জাঠি হাথে সখিগণ লয়্যা সাথে
যেন বিধু নমিয়াছে পারা।
তেমতি তাহার শোভা দিনমণি জিনি আভা
চৌদিগে বেড়ল যেন তারা।।
বরণ চম্পক জোতি কাঞ্চন জিনিয়া তথি
কেতকী নিছনি দিয়া তায়।
কিবা সে করবী মাল উড়িছে ভ্রমর জাল
ফণি যেন শিখরে উদয়।।
সুবেশ করিয়া বাণী কত সাজাইয়াছে মণি
তাহিতে করয়ে ঝলমল।
অমিয়া জিনিয়া ইন্দু কপালে সিন্দুরের বিন্দু
প্রতি অঙ্গ করে ঝলমল।।
কটাক্ষ করিয়া মোরে হানিল নয়ান শরে
ঈষৎ হাসিয়া নিল প্রায়।
নাসামণি তিল ফুল মুকুতাতে ঝলমল
বিম্বাধর শোভা করে তায়।।
কিবা সে কুরঙ্গ আঁখি বসিয়াছে থির পাখী
ভাঙ্গিয়া ভাঙ্গিয়া খায় মুধ।
দন্ত কুণ্ড শোভা অতি রসেন্দ্র বসন তথি
চিবুকে সাজাইছে এক বিন্দু।।
গলে গজমতি হার তুলনা কি দিব তার
বলয়া শোভিত করে বাহু।
কুচের উপরে কিবা নীলের কাঞ্চন শোভা
চাঁদে যেন গরাসিল রাহু।।
মাজাখানি ক্ষীণ উরু জিনি হর ডম্বরু
কেশরী নিছনি দিয়া তায়।
কিবা সে তিলক সাজে কটিতে কিঙ্কিণী বাজে
মণিময় কত অভরণ।
অমিয়া রসের নিধি নিরমাইল কোন বিধি
কাঁচে যেন বেড়িল কাঞ্চন।।
রাতুল চরণে কিবা যাবক রঞ্জিত শোভা
কনক নূপুর শোভে তায়।
বলরাম দাসে কয় সেরূপ দেখিল তায়
কেমনে পরাণ ধৈরয হয়।।