এক দিন লহু হাসি অদ্বৈত-মন্দিরে আসি
বসিলেন শচীর কুমার।
নিত্যানন্দ করি সঙ্গে অদ্বৈত বসিলা রঙ্গে
মহোৎসবের করিলা বিচার।।
শুনিয়া আনন্দে হাসি সীতা ঠাকুরাণী আসি
কহিলেন মধুর বচন।
তা শুনি আনন্দ মনে মহোৎসবের বিধানে
বোলে কিছু শচীর নন্দন।।
শূন ঠাকুরাণি সীতা বৈষ্ণব আনিয়ে এথা
আমন্ত্রণ করিয়া যতনে।
যেবা গায় যেবা বায় আমন্ত্রণ করি তায়
পৃথক্ পৃথক্ জনে জনে।।
এত বলি গোরা রায় আজ্ঞা দিল সভাকায়
বৈষ্ণব করহ আমন্ত্রণ।
খোল করতাল লৈয়া অগুরু চন্দন দিয়া
পূর্ণ-ঘট করহ স্থাপন।।
আরোপণ কর কলা তাহে বান্ধি ফুলমালা
কীর্ত্তন-মণ্ডলী কুতূহলে ।
মাল্য চন্দন গুয়া ঘৃত মধু দধি দিয়া
খোল-মঙ্গল সন্ধ্যাকালে।।
শুনিয়া প্রভুর কথা প্রীতে বিধি কৈল যথা
নানা উপহার গন্ধবাসে।
সভে হরি হরি বোলে খোল-মঙ্গল করে
পরমেশ্বরদাস রসে ভাসে।।