এ কথা জননী কিছুই না জানে
সঙ্গের সঙ্গতি গুণে।
গোপত আখ্যান ইহা কে জানিবে
কেহ সে নাহিক জানে।।
মূর্চ্ছিত কিশোরী আপনা পাসরি
পড়ল ধরণী-মাঝে।
যেমত সোনার পুতলি পড়ল
অবনীমণ্ডল-মাঝে।।
কাঞ্চন-বরণী সুবলমোহিনী
দামিনী চমকে যেন।
অগেয়ান হৈয়া সুধী নাহি রহে
পড়িল কিশোরী তেন।।
বিস্মিত হইলা ললিতা সুন্দরী
অনঙ্গমঞ্জরী কহে।
“আচম্বিতে হেন রাই অচেতন
কেন বা এমন হয়ে।।
এই মাত্র খেলা দেখিতে দেখিতে
এমন কেন বা হল।
কি হেতু ইহার বুঝিতে নারিয়ে
সবাই হইল ভোল।।”
কৃত্তিকা কহেন– “রাধা কেন হেন
মুদিয়া নয়ন দুই।
চেতন নাহিক কাঠের পুতলি
পড়িয়া রহল রাই।।”
কান্দিয়া বিকল মায়ের অন্তর
কহেন সবার আগে।
“এ কি পরমাদ বিষম বিষাদ
বালিকা দেখিয়া লাগে।।
এক সহচরী আন ডাক দিয়া
কহত রাজার আগে।
আচম্বিতে রাই পড়িল অথাই”
চণ্ডীদাস যায় লগে।।