এ কথা শুনিয়া শ্যাম-মুখ চেয়্যা
দূতী এক কহে বাণী।
“রাই মানাইয়া এখনি আনিব
শুন হে নাগরমণি।।”
কহিছে নাগর চতুর শেখর–
“এখনি চলিয়া যাহ।”
চলি এক মন দূতীর গমন
যেখানে আছয়ে সেহ।।
সেইখানে গিয়া দিল দরশন
কহিতে লাগল তাই।
* * * * * *
* * *।।
দূর হতে দেখি দূতীর গমন
করিল শ্রীমুখ বঙ্ক।
হেনকালে দূতী দাঁড়াই সম্মুখে
কহেন রসের রঙ্গ।।
দূতী বলে–“ভাল তোমার চরিত
বুঝিতে নারিল এ ।
সে হেন নাগরে পরিহরি ধনি,
যাহারে সঁপিল দে।।
যার লাগি তুমি পথের মাঝারে
সঘনে সঘনে চাও।
সে হেন বঁধুরে তেজি বহুদূরে
কত মেনে সুখ পাও।।
যাহার কারণে বেণীর বন্ধানে
দিনে কত বার কর।
কালিয়ার সাধে কাল জাদ খানি
ভাবে বেণী-পর ধর।।”
চণ্ডীদাস কহে— শুন সুধামুখি,
কুঞ্জেতে আকুল কান।
তুরিত গমন বিলম্ব না কর
তেজহ দারুণ মান।।