(ও সে) অধর মানুষ নদীর কুলে ঘাট বেঁধেছে।
তাহে মণিমুক্তা ভিয়ান ক’রে ঘাটে শান বেঁধে দিয়েছে।।
পদ্মা যমুনা মিলে ভাগীরথীর লোনা জোয়ারে।
এসে তিনভাবে তিন নদীর জলে ভাটা-জোয়ার খেলতেছে।।
আদ্য মানুষ অধরচাঁদে এক রূপ তিন রূপ ধরেছে।
তিন ধারে তিন রসে মিশে বারাম দিতেছে।।
মানুষ তিন রতি হয়ে, তিন রসেতে সোয়ার দিয়ে,
ও সে সাধারণী, সমঞ্জসা, সমর্থা — তিন নাম ধরেছে।।
গরল রসে সাধারণী, সমঞ্জসায় শাম্ভু শুনি,
সমর্থা অমৃত রসে বিরাজ করতেছে।
যে জন রসিক হয়েছে, রসের ভিয়ান সে-ই জেনেছে।
ও যে গুরুর কৃপায়, ঘাটে নেমে তিন রতি উদান করেছ।
রস-রতি উজান হলে গোপীকৃপা তাইরি বলে,
(ও যে) সহজ রূপে নয়ন দিয়ে জেন্তে মরেছে,
ঘাটে বসে রয়েছে; অনায়াসে মানুষ ধরেছ।
ও সাঁই হীরুচাঁদ কয়, ভাব না জেনে পাঞ্জ ঘুরে মলি মিছে।।