কনক কটোরি ভরি দুগ্ধ দেই মায়।
মুখ দিয়া থাকে তায় কিছু নাহি খায়।।
যশোমতী বলে কথা শুনরে বাছনি।
দুগ্ধ খাহ এই ক্ষণে বাড়িবেক বেণী।।
বলরামের দীর্ঘ বেণী দেখ পিঠে দোলে।
দুগ্ধ নাহি খাহ তেঞি কেশ কর্ণমূলে।।
সারোষ্ণ ধবলীদুগ্ধ চিতা দিঞা খায়।
খেতে খেতে বেণী বাঢ়ে চরণে লোটায়।।
মায়ের এ সব কথা প্রলাপ শুনিঞা।
দুগ্ধ খায় কেশে কৃষ্ণ বাম হাত দিঞা।।
তা দেখি মায়ের গা ধরণে না যায়।
আনন্দ সাগরে ভাসে থল নাহি পায়।।
দুগ্ধ খাইঞা মায়ের কাছে চতুর কানাই।
জোঁখা দিয়া দেখে কেশ কিছু বাড়ে নাই।।
কেশে ধরি কান্দে কৃষ্ণ গড়াগড়ি বুলে।
ব্যস্ত হইল যশোমতী পুত্র করি কোলে।।
ক্রন্দন শুনিয়া তথা আইল রোহিণী।
কৃষ্ণ কোলে করি শিরে দিল নিজ বেণী।।
যশোদা বলেন এই দেখ যদুরায়।
বাড়িল তোমার বেণী ধরণী লোটায়।।
কৃষ্ণের বালকলীলা শুন মন দিয়া।
বিপ্র পরশুরামে গায় গোবিন্দ ভাবিয়া।।