করযোড়ে আছে বসুমতী দেবী
কহেন কাতর বাণী।
“কিরূপে আমার পরিত্রাণ হএ
কহত ঠাকুর তুমি।।”
ব্রহ্মারুদ্র দুই বসি এক ঠাঞি
যুগতি হইল সারা ।
সত্যযুগ পরে বেদে নাম ধরে
দ্বাপরে আছয়ে ধারা।।
পূর্ণ সনাতন নিখিল পূরণ
কৃষ্ণবর্ণ অবতার।
বেদে যে কহিল তাহাই হইল
শুনহ বচন পার।।
দুইজন ইহা করিল রচন
কহিয়া বেদের বাণী।
শুক্ল রক্ত পীত বরণ বিভিন্ন
কৃষ্ণ অবতার গুণি।।
তেই সে উৎপতে অসুর ভাবেতে
ধরণী রহিতে নারে ।
অতএব নানা বেদ-অধ্যয়ন
ঠেলয়ে অসুরাসুরে।।
চণ্ডীদাসে কহে “সেই সে দেখহে
তোর সে তোমরা মূল।
কেমতে এসব পরিণাম হয়ে
ইহ দুঃখ কর দূর।”