ক কলিযুগে শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য অবতার।
খ খেলিবার প্রবন্ধে কৈল খোল করতাল।।
গ গড়াগড়ি যান প্রভু নিজ সংকীর্তনে।
ঘ ঘরে ঘরে হরি নাম দেন সর্বজনে।।
ঙ উচ্চৈঃস্বরে কাঁদে প্রভু জীবের লাগিয়া।
চ চেতন করান জীবে কৃষ্ণ নাম দিয়া।।
ছ ছল ছল করে আঁখি নয়নের জলে।
জ জগৎ পবিত্র কৈল গৌর কলেবরে।।
ঝ ঝলমল মুখ যেন পূর্ণ শশধর।
ঞ এমত ত দেখি নাই দয়ার সাগর ।।
ট টলমল করে অঙ্গ ভাবেতে বিভোল।
ঠ ঠমকে ঠমকে চলে বলে হরিবোল।।
ড ডোরহি কৌপীন ক্ষীণ কটির উপরে।
ঢ ঢলিয়া ঢলিয়া পড়ে গদাধর ক্রোড়ে।।
ণ আন পরসঙ্গ গোরা না শুনে শ্রবণে।
ত তান মান গান রসে মজাইয়া মনে।।
থ থির নাহি হয় প্রভুর নয়নের জল।
দ দীনহীন জনেরে ধরিয়া দেয় কোল।।
ধ ধোয়াইয়া পুরব পিরিতি পরসঙ্গ।
ন না জানি কাহার ভাবে হইল ত্রিভঙ্গ।।
প প্রেমরসে ভাসাইয়া অখিল সংসার।
ফ ফুটল শ্রীবৃন্দাবন সুরধূনী ধার।।
ব ব্রহ্মা মহেশ্বর যাঁরে করে অন্বেষণ।
ভ ভাবিয়া না পান যাঁরে সহস্র লোচন।।
ম মত্ত মাতঙ্গ গতি মধুর মৃদু হাস।
য যশোমতী মাতা যাঁর ভুবনে প্রকাশ।।
র রতিপতি জিনি রূপ অতি মনোরম।
ল লীলা লাবণ্য যার অতি অনুপম।।
ব বসুদেব সুত সেই শ্রীনন্দ নন্দন।
শ শচীর নন্দন এবে বলে সর্বজন ।।
ষ ষড়ভুজ রূপ হৈলা অত্যাশ্চর্য্যময়।
স সাবধান প্রাণনাথ গোরা রসময়।।
হ হরি হরি বল ভাই করি মহাযজ্ঞ।
ক্ষ ক্ষিতি তলে জন্মি কেহ না হৈয় অবিজ্ঞ।।
এ চৌত্রিশ পদাবলী যে করে কীর্তন।
দাস নরোত্তম মাগে তাহার চরণ।।