কহিছে বড়াই– “শুন ধনী রাই,
বেলা যে উচর হল।
তোলহ পশরা অতি রবি খরা
তুরিত করিয়া চল।।
গৃহপতি তারা অতি সে মুখরা
গঞ্জিব কতেক গালি।
শুনি উঠে তাপ বিষম সন্তাপ
গমন তুরিতে ভালি।।
লোক-চরচাতে হেন মনে করে
সকল বুড়ির দোষ।
আমি না আইলে কেবা লয়ে যায়
কাহারে করিব রোষ।।”
রাধা বলে তায়– “কিবা আছে ভয়
যে করু সে করু পাছে।
এহেন সম্পদ্‌ পাইয়া আমরা
আর কি জগতে আছে।।
শুন গো, বেদনি, বড়াই চেতনি,
তুমি সে নাটের নাট।
গোপনী যে রস করিলে বেকত
পাতালে রসের হাট।।
এখন কেন বা ভয় পরিসর
তখনি ভরসা বাঁধ।
কানুর চরণে ভেজাতে যতনে
যতনে তাহাই ছাঁদ।।”
চণ্ডীদাস বলে– “চলহ তুরিতে
বিলম্ব নাহিক, ধনি।
বহুদূর পথ গোকুল-নগরী
সাজাহ পশরা খানি।।”