কহেন বচন এ যদুনন্দন–
“শুন হে সুবল ভাই।
তোমাদের ঠাঁই আছিয়ে সদাই
ইথে আন কথা নাই।।
আমি গিয়া আসি কংসরাজ তুষি
পুনঃ সে খেলিব খেলা।
সরল হৃদয়ে বিদায় করহ
পুন সে হইব মেলা।।”
এ কথা শুনিয়া গদ্‌গদ হৈয়া
কাঁদয়ে বালক যতে ।
ধূলায়ে ধূসর হয়ে কলেবর
করাঘাত হানে মাথে।।
“কি বোল, কি শুনি”– কহে সবে বাণী
“নিঠুর হইল কানু।
আমরা তোমার বিরহ-বেদনে
এখনি তেজবি তনু।।
আর কি বাঁচিব ও তনু রাখিব
না দেখি ও চাঁদ-মুখ।
এবে সে জানিল বিহি নিকরুণ
দিয়ে অতি বড় দুখ।।
তোমার বিহনে জীব না কেমনে
ইহার উপায় বল।
তবে সে যাইবে মথুরা-নগরী”–
শুনিতে কানাই ঢল।।
হেটমাথে রহে বচন না স্ফুরে
নাগর চতুর রায়।
কাঁদে ব্রজবালা বিরহ-বেদনে
চণ্ডীদাস কাঁদে তায়।।