কহে বসুদেব– “শুন, নন্দঘোস,
বালক দিআছি তোহে।
বুঝিআ জা কর তুমারে সপিলু
কি করে আমার মোহে।।
বংশ রক্ষা জদি পারহ রাখিতে
তবে সে বড়াই বড়।
ইহাকে অধিক আর কি বলিব
তোমারে কহিল দড়।।
জাহ নিজ ঘরে এখানে না থাক
শুন, নন্দঘোস রাঅ।
বহুত আপদ বালক-উপরে
তোমারে কহিল তায়।।”
নন্দঘোস নড়ে তুরিত গমনে
চলিলা গোকুল-পুরে।
গিআ নিজ ঘরে অতি কুতূহলে
বালক করিল কোলে।।
লক্ষ লক্ষ চুম্ব বদন-কমলে
ভাসএ আনন্দ-সরে।
গাভী বৎস জত মেনে লাখ শত
ঘোস গেলা আন ঘরে।।
আনন্দে বিহরে নন্দের কুমার,
মায়ের আনন্দ দেখি।
চণ্ডিদাস বলে এক দিঠি রাণি
নাহি সে পালটে আখি।।