কানুরে পাঠাইয়া বনে যশোদা বিষাদমনে
আসিয়া রাইবে করে কোরে।
দুখে আউলাইছে গা মুখে না নিঃসরে রা
বসন ভিজিয়া গেল লোরে।।
গদগদস্বরে রাণী কহয়ে বিষাদবাণী
ধরিয়া রাধার দুটি করে।
কীর্তিদা সমান হেন আমারে জানিবা তেন
সে ঘর এ ঘর সব তোরে।।
কি আর করিব সাধ সকল পড়িল বাদ
দিনেক রাখিতে নারি তোমা।
এমনি বিষম লোক জীয়ন্তে পাড়য়ে পোকে
তিলেক নাহিক কারু ক্ষেমা।।
বিবিধ মোদক আনি রাইয়ের আঁচলে রাণী
দিলা কত যতন করিয়া।
ফুকার করিয়া কান্দে হিয়া থির নাহি বান্ধে
ধারা বহে মুখ বুক বাইয়া।।
রাণীর করুণা শুনি পাষাণ গলয়ে জানি
সখীগণ কান্দিয়া বেথিত।
শেখর সময় জানি থির কৈল নন্দরাণী
কহে রাই চলহ তুরিত।।