কানুর পীরিতি পাইয়া পরশ
মানেতে মোহিত ছিল।
হাসি নাসা পর অঙ্গুলি ভেজায়ে
ও নব নাগরী দিল।।
“কে জানে এমন তোমার ধরণ
কপট আগুন ইথে।
বহুদিন মান কপট অন্তরে
ভাঙ্গল কপট চিতে।।”
“আর কিবা আছে মান অভিমান
চলহ নিকুঞ্জ বনে।
করহ বেশের পরিপাটী যত
চলহ সখীর সনে।।”
শ্যাম সুনাগর চতুর শেখর
চলিল নিকুঞ্জ-ধামে।
হেথা সুধামুখী বেশ পরিপাটী
করে সে মনের সনে।।
চলল কিশোরী শ্যাম দরশনে
বদনে মধুর হাসি।
সঙ্গে সহচরী মন্থর গমন
চাতুরী বদনশশী।।
যেমন চিত্রের পুতলি চলিছে
ও চাঁদবদনী রাধা।
নীল-লোচনী আধেক ওড়নী
বচন কহত আধা।।
শ্রীঅঙ্গ চলিতে গদ্‌গদ ভেল
বচন চপল আধ।
চলিতে মধুর বাজয়ে পঞ্চম
মধুর মধুর নাদ।।
সুগন্ধ মলয় চন্দন কস্তুরী
অগুরু সৌরভ পায়।
মত্ত অলিগণ কুসুম কোকিল
এ সব সঘনে ধায়।।
বিচিত্র দুসারি সুগন্ধ কুসুম
বিছাই বনের পথে।
নবীন কিশোরী সুখে পদ দুটি
আরোপিয়া যায় তাতে।।
চণ্ডীদাস কহে– শ্যাম-দরশনে
চলিছেন ধনী রাধা।
কতি গেল মান বিরস বদন
আন কাজ গেল বাধা।।