কানুর বিরহে বিরহিণী ধনি
ভাগবত মন তার।
ভাবে অনুমান হয় বর্ত্তমান
ভাবোল্লাসে চমৎকার।।
ভাবের ডুবারু ভাব গত হৈলে
ভাবিলেই হয় কাজ।
ভাবোল্লাসে ধনি বন্ধুরে পাইল
হৃদয় মন্দির মাঝ।।
ভাবোল্লাসে ধনি বন্ধুরে পাইয়ে
ভাবে গদগদ কয়।
ব্রজের প্রদীপ নিভাইয়া কহ
মথুরা যেতে কি হয়।।
বল দেখি হিয়া বেন্ধছ কি দিয়া
ধর্ম্মভয় নাহি বুকে।
নারীবধে ভয় নাই হে তোমার
পাষাণে জল কি ঢুকে।।
পিরীতি রসের রসিক বোলায়
পিরীতি বহিতে নার।
তোমার মমতা এই রসিকতা
অবলা বধিতে পার।।
শুন গিরিধারি মথুরা বিহারী
নারী বধে নাহি ভয়।
পিরীতি করিয়া তোমারে ভজিলে
শেষে কি কাঁদিতে হয়।।
পিরীতি করিলা কেন দুঃখ দিলা
বিরহ বেদনা দিয়া।
তুমি ত কঠিন কপট তোমার
কালিয় কুটিল হিয়া।।
বিরহ বেদনা তুমি ত জাননা
তোমারে কি তাহা বাজে।
মোর দু কুলের কপাট ভাঙ্গিয়া
ব্রজ ছাড়ো কোন লাজে।।
সেই রসিকতা পিরীতি মমতা
দরদি হইলে রাখে।
পিরীতি রতন রসের গঠন
গরবেতে কি হে থাকে।।
পিরীতের দায় প্রাণ ছাড়া যায়
পিরীতি ছাড়িতে নারে।
পিরীতি রসের পশরা তাহা কি
রাখালে বইতে পারে।।
বল দেখি তুমি কোন লাজে ধর
রসিক নাগর নাম।
তোমার হৃদয় কঠিন কপট
রসিকতা কই শ্যাম।।
সে জনা রসিক রসে ঢর ঢর
মরমী যে জন হয়।
হে-রে-রে-রে বলে ধবলী হাঁকারে
সে জন রসিক নয়।।
রসিকের রীত সহজে সরল
রাখালে কি তাহা জানে।
কান্ত কহে কানু রাই-এর গঞ্জনা
সুধাসম করি মানে।।