কান্দিআ আকুল দুগুন হইল
নন্দের নন্দন হরি।
হরষে পুতুনা দেখিয়া কান্দনা
মুখে স্তন দিল ভরি।।
জুড়িল চমক পাইল ধমক
ননাড়ি (?) বেড়িল বোটা।
“একি, একি”–বলি কান্দএ রাক্ষসী,
“কি করে নন্দের বেটা !
উহু, মরি মরি”– কহে বেরি বেরি
তত সে শুষেন বালা।
নিবিড় করিঞা কর আরপিল
স্তনের উঠিল জ্বালা।।
“ছাড় ছাড়, বালা, স্তনে উঠে জ্বালা
বুক বিদরিআ জাএ ।
হেন মনে মোর জল স্তন পান ”
“বাপু বাপু” বলে মাএ।।
আস্তম্ভ পজ্যন্ত শরীর সকল
শুষিতে দুগ্ধের সনে।
“রাখ, রাখ, বাপ,”– জনক-জননী
ইহাই বলেন ঘনে।।
পরিত্রাণ সবে গোকুল-নগরে
কম্পিত হইল সব।
বলে-“বাপ, বাপ, রাখ, রাখ, বলি
কে এত করিছে রব ?”
নন্দের নন্দন করে দুগ্ধ পান
আপন জতেক শক্তি।
তেজিল শরীর পুতুনা রাক্ষসী
তার ভেল তাএ মুক্তি।।
পড়িল পুতুনা ছয় ক্রোশ জুড়ি
ভাঙ্গিআ কতেক গাছ।
গোকুল-নগরে কত ঘর ভাঙ্গে
কেহোত না লাগে কাছ।।
অতি ভয়ঙ্কর দেখিতে দুষ্কর
দ্বাদশ ক্রোশের প্রস্থ।
একেক জোজন পড়িআ রহিল
পুতুনার দুই হস্ত।।
মস্তক ডাগর মেউর মন্দার
নাসিকা শিখর দুই ।
দন্ত সারি হেন লাঙ্গল-প্রমাণ
শ্রবণ পুখুর সেই।।
উদর ডাগরি দীঘল পুখুরি
চরণ এ দুই কহি ।
জেমন ক্রোশ সম এ দুই চরণ
চণ্ডিদাস কহে এহি।।