কুটিলা তখন হরষিত মন
প্রবেশিল কুঞ্জগৃহ।
কৃত্তিদাতনয়া আছেন বসিয়া
যথা সখীগণ সহ।।
দেখি কুটিলায় ললিতা সুধায়
এসেছ কি স্নান তরে।
কহিছে কুটিলা কত জান ছলা
শিখাইব ভাল কোরে।।
স্নানের লাগিয়া বধুরে আনিয়া
লম্পট কালায় দিলি।
মোর পিতৃকুলে কালি দিলি ঢেলে
তোর মুখে চূণ কালি।।
এত বলি রুষি সদলে প্রবেশি
চায় চারিদিক পানে।
দেখে বনমালা রাইয়ের মতিমালা
পড়ে আছে এক স্থানে।।
ক্রোধে কাঁপে অঙ্গ করিয়ে ভ্রুভঙ্গ
রাধা পানে চায় ঘন।
রাধা পেয়ে ভয় সবিনয়ে কয়
ক্রোধ কর কি কারণ।।
যেই মালা দেখে চাহিতেছ রোখে
করিতেছ সংশয়।
তোমার দাদার মাথা খাই যদি
ঐ মালা মোর হয়।।
শুনি কোপে জ্বলে মালা লয়ে চলে
কুটিলা কুটিলমতি।
ভণে অকিঞ্চন রাধিকা তখন
ভয়ে চায় ইতি উতি।।