“ক্ষেণেক দাঁড়ায়ে রও।
চাঁদ-মুখখানি আগে নিরখিয়ে
তবে সে মথুরা যেও।।
আমার নয়ন– চকোর সঘন
পিতে চাহে ঐ বিধু।
লুবধ ভ্রমর যেমন জীবয়ে
পাইলে ফুলের মধু।।
এক বার দেখি নটবেশখানি
জুড়াক রাধার হিয়া।
তখন এ বেশে সিঞ্চল অন্তরে
এবে কেন কর ইয়া।।
এ দেহ সঁপিল [স]কল মজিল
জাতি কুল দিনু তোরে।
এত পরমাদ তোমার কারণে
গঞ্জনা এ ঘরে পরে।।
সকল ছাড়িল তোমার কারণে
তাহে নিদারুণ তুমি।
কি বলিব পায়ে সকল গোচর
কি আর বলিব আমি।।”
কহে চণ্ডীদাস– “কানুর চরণে
মিনতি করিয়া কত।
কুলবতী জনে কি হবে উপায়
পরামে না সহে এত।।”