খেলাতে হারিলে বাঁশী রমণীর মাঝে।
বাঁশীটি হারায়ে ঘরে যাবে কোন লাজে।
না দিব না দিব বন্ধু তোমারে ছাড়িয়ে।
মদন কুটীর ঘরে রাখিব বান্ধিয়ে।।
জলকেলি করেছিলে যমুনার জলে।
বসন কাড়িয়ে মোরে কত দুখ দিলে।।
একদিন রাজপথে দানী হয়েছিলে।
দান দেহ বলি তুমি পথ আগুলিলে।।
এই বাঁশী দিবানিশি করে অপমান।
এই বাঁশীর স্বরে হরে যুবতীর প্রাণ।।
এই বাঁশী বৃন্দাবনে করে নানা রস।
যার স্বরে ব্রজপুরের নারী তোমার বশ।।
যার গানে ভুলাইলে এ তিন সংসার।
এ বাঁশী হারায়ে শ্যাম কি হবে তোমার।।
এই বাঁশী দংশে মোরে হয়ে কাল ফণী।
সাগরে ভাসাব বাঁশী করি দুইখানি।।
শুকাইল শ্যামের বদন মলিন হৈল শশী।
অকিঞ্চন দাস কহে দিতে হৈল বাঁশী।।