গৌরাঙ্গের সহচর শ্রীবাসাদি গদাধর
নরহরি মুকুন্দ মুরারি।
সঙ্গে স্বরূপ রামানন্দ হরিদাস প্রেমকন্দ
দামোদর পরমানন্দ পুরী।।
যে সব করিলা লীলা শুনিয়ে গলয়ে শিলা
তাহা মুঞি না পাইলুঁ দেখিতে।
তখন নহিল জন্ম এবে কেন ভব বন্ধ
সে না শেল রহি গেল চিতে।।
প্রভু সনাতন রূপ রঘুনাথ ভট্টযুগ
ভূগর্ভ শ্রীজীব লোকনাথ।
এ সকল প্রভু মেলি যে সব করিলা কেলি
বৃন্দাবনে ভক্তগণ সাথ।।
সভে হৈলা অদর্শন শূন্য হৈল ত্রিভুবন
অন্ধ হৈল সভাকার আঁখি।
কাহারে কহিব দুখ না দেখাঙ ছার মুখ
আছি যেন মরা পশু পাখী।।
শ্রীআচার্য শ্রীনিবাস আছিঁলু যাহার পাশ
কথা শুনি জুড়াইত প্রাণ।
তেহোঁ মোরে ছাড়ি গেলা রামচন্দ্র না আইলা
দুখে জীউ করে আনচান।।
যে মোর মনের বেথা কাহারে কহিব কথা
এ ছার জীবনে নাহি আশ।
অন্ন জল বিষ খাই মরিয়া নাহিক যাই
ধিক ধিক নরোত্তম দাস।।