গৌরীদাসের নিমন্ত্রণে ষতেক মহান্ত গণে
আইল সবে অম্বিকা নগরে।
মহা মহোৎসব ধ্বনি হরিনাম গর্জন শুনি
নাচে গৌরীদাসের মন্দিরে ।।
গৌরীদাস হাসি হাসি প্রভুর নিকটে আসি
কহে কিছু মধুর বচন।
যদি কৃপা করি মোরে এসেছ আমার ঘরে
তবে কিছু করহ ভোজন।।
করি এ …সাদ দ্বাদশ গোপাল মাঝ
বসিলেন মহান্তের গণ।
বামেতে অদ্বৈত করি বসিলেন গৌর হরি
দস্কিণেতে পদ্মার নন্দন।।
প্রভুর লহ লহ ভাষে আন বলে গৌরীদাসে
গৌরীদাস দিছেন প্রচুর ।
দুই চারি গ্রাস খায় মনেতে আহ্লাদ পায়
হরিধ্বনি করয়ে মধুর।।
ক্রমে সে ভোজন সারি উঠি আচমন করি
গৌরীদাস দিলেন আসন।
গণ সহ গৌরহরি বসিলা আসন পরি
গৌরী করে চামর ব্যাজন।।
তাম্বুলের সাজ করি কনক থালাতে পরি
গৌরীদাস দিলে সভাকারে ।
শ্রীচৈতন্য নিত্যানন্দ অদ্বৈতাদি ভক্তবৃন্দ
লইলেন পরম সাদরে ।।
মাল্যচন্দন করি হাতে কহিছেন সীতানাথে
অর্পণ করিব আগে কারে।
মহাপ্রভু দিলে সায় আগে নিত্যানন্দ রায়
পিছে দেহ আর সভাকারে।।
প্রভু বাক্যে গৌরীদাসে মালাচন্দন লয়ে হর্ষে
একে একে সবাকারে দিলা।
প্রেমাবেশে গৌরহরি নাচে গায় ফিরি ফিরি
নরোত্তম আনন্দে ভাসিলা।।