জয় ভট্ট রঘুনাথ গোসাঞি।
রাধাকৃষ্ণ লীলা গুণে দিবানিশি নাহি জানে
তুলনা দিবার নাহি ঠাঞি।।
চৈতন্যের প্রেমপাত্র তপন মিশ্রের পুত্র
বারাণসী ছিল যার বাস।
নিজ গৃহে গৌরচন্দ্রে পাইয়া পরমানন্দে
চরণ সেবিলা দুই মাস।।
শ্রীচৈতন্য নাম জপি কথো দিন গৃহে থাকি
করিলেন পিতার সেবনে।
তার অপ্রকট হৈলে আসি পুন নীলাচলে
রহিলেন প্রভুর চরণে।।
মহাপ্রভু কৃপা করি নিজশক্তি সঞ্চারি
পাঠাইয়া দিলা বৃন্দাবন।
প্রভুর শিক্ষা হৃদে গণি আসি বৃন্দাবনভূমি
মিলিলেন রূপ সনাতন।।
দুই গোসাঞি তারে পাঞা পরম আনন্দ হৈয়া
রাধাকৃষ্ণ প্রেমরসে ভাসে।
অশ্রু পুলক কল্প নানা ভাবাবেশ অঙ্গ
সদা কৃষ্ণকথার উল্লাসে।।
সকল বৈষ্ণব সঙ্গে যমুনাপুলিনে রঙ্গে
একত্র হইয়া প্রেমসুখে।
শ্রীভাগবতকথা অমৃত সমান গাথা
নিরবধি শুনে যার মুখে।।
পরম বৈয়াগ্যসীমা সুনির্ম্মল কৃষ্ণপ্রেমা
সুস্বর অমৃতময় বাণী।
পশু পক্ষ পুলকিত যার মুখে কথামৃত
শুনিতে পাষাণ হয় পানী।।
শ্রীরূপ সনাতন সর্ব্বারাধ্য দুই জন
শ্রীগোপাল ভট্ট রঘুনাথ।
এ রাধাবল্লভ বলে পড়িলুঁ বিষয় ভোলে
কৃপা করি কর আত্মসাথ।।