ঝুলনা হইতে নামিলা তুরিতে
রসবতী রস-রাজ।
রতন-আসনে বসিলা যতনে
রতন মন্দির মাঝ।।
সুচামর লেই বীজন বীজই
সেবা-পরায়ণা সখী।
সুবাসিত জলে বদন পাখালে
বসনে মোছাঞা দেখি।।
থারি ভরি কোই বিবিধ মিঠাই
ধরি দুহুঁ-সম্মুখে।
সখীগণ সহে কতহুঁ কৌতুকে
ভোজন করিল সুখে।।
তাম্বুল সাজাঞা কোন সখী লৈয়া
দোঁহার বদনে দিল।
এ কেশ-কুসুমে আপাদবদনে
নিছিয়া নিছিয়া নিল।
কুসুম-তলপে অলপে অলপে
বসিলা রাধিকা শ্যাম।
আলসে ঈষত নয়ন মুদিত
হেরিয়া মোহিত কাম।।
দেখি সখীগণে কতহুঁ যতনে
শুতায়ল দুহুঁ তায়।
সখীর ইঙ্গিতে চরণ সেবিতে
এ দাস বৈষ্ণব যায়।।