ঝুলনা হইতে নামিলা তুরিতে
গগনে নিরখি বেলা।
ফুল তুলিবারে চলিলা সত্বরে
সকল আভীর বালা।।
ভরি ফলফুলে শাখা সব লোলে
আসিয়া পরশে মূল।
সখি সব মেলি করিয়া ধামালি
তোলয়ে বিবিধ ফুল।।
সকল কানন মণির বান্ধন
পরাগে পূরিত বাট।
করি মধুপান অলি করে গান
ময়ূরী করয়ে নাট।।
সুগন্ধি করবী তোলয়ে মাধবী
অশোক কিংশুক জবা।
এ থলকমল তোলয়ে সকল
দিনমণি জিনি আভা।।
জাতি যূথি তথি তোলল যুবতি
মল্লিকা মালতী চাঁপা।
পুন্নাগ কেশর তোলয়ে নাগর
গড়ল বিনোদ ঝাঁপা।।
রসিক নাগর রসের সাগর
কুসুম রচনা করে।
হাসিয়া হাসিয়া আইলা লইয়া
রাইএর নিকটে ধরে।।
ভুজযুগ তুলি রাধিকা রসালি
তোলয়ে লবঙ্গ ফুল।
রসিকশেখর হইলা কাতর
দেখিয়া ভুজের মূল।।
ফুল ঝাঁপা লৈয়া যতন করিয়া
রাইএর নিকটে আসি।
ধনীর আঁচলে দিলেন বিভোলে
ফুলের সহিতে বাঁশী।।
পাইয়া মুরলী রাধিকা সে বেলি
রাখিলা বিশাখা পাশে।
বিশাখা যতনে রাখিল গোপনে
শেখর দেখিয়া হাসে।