ঠাকুর গৌরাঙ্গ নাচে নদীয়া নগরে।
শুনিয়া ত্রিবিধ লোক না রহিল ঘরে।।
হেম-মণি-আভরণ শ্রীঅঙ্গেতে সাজে।
চন্দনে লেপিত অঙ্গ ভাণ্ডবিন্দু মাঝে।।
চাঁদে চন্দনে কিবা সুমেরু ভূষিত।
মালতীর মালে গলদেশ অলঙ্কৃত।।
আগে নাচে অদ্বৈত যার লাগি অবতার।
বাহিরে গৌরাঙ্গ নাচে আনন্দ সবার।।
নাচিতে নাচিতে গোরা যেনা দিগে যায়।
লাখে লাখে দীপ জ্বলে কেহ হরি গায়।।
কুলবধূ সকল ছাড়িয়া হরি বলে।
প্রেমনদী বহে সবার নয়নের জলে।।
কুঞ্চিত কুন্তল বেড়িয়া নানা ফুলে।
সফুল করবীডাল মল্লিকার দলে।।
নাটুয়া ঠমকে কিবা পহু মোর নাচে।
রামাই সুন্দরানন্দ মুকুন্দ গান পাছে।।
কি করিব তপ জপ কিবা বেদবিধি।
হরিনামে উদ্ধারিল চণ্ডাল অবধি।।
কুলবতী আদি করি ছাড়িল গৃহকাজ।
তপস্বী ছাড়িল তপ সন্ন্যাসী সন্ন্যাস।।
যব সেহ নাচে গায় লয় হরিনাম।
এ রসে বঞ্চিত ভেল দাস বলরাম।।