ডাকিয়া তখন নিজ প্রজাগণ
আজ্ঞা দিল ব্রজরাজ।
বস্ত্র অলঙ্কার নানা উপহার
করহ গোষ্ঠের সাজ।।
শুনি গোপী যত আনন্দিত-চিত
যৌতুক থালীতে ভরি।
নন্দের ভবনে দিলা দরশনে
দিব্য বাস ভূষা পরি।।
নন্দের গৃহিণী যশোদা রোহিণী
অম্বা কিলিম্বাদি সঙ্গে।
হরিদ্রা কুঙ্কুম গন্ধ উর্দ্ধত্তন
দিলা রামকৃষ্ণঅঙ্গে।।
সুবাসিত জলে ধান্য দূর্ব্বাদলে
স্নান সমাপন করি।
পরিয়া বসন মণি-আভরণ
গোষ্ঠেতে চলিলা হরি।।
নন্দ মহামতি মুনির সংহতি
সভাসদগণে লৈয়া।
নানা বাদ্য বাজে মঙ্গল সুসাজে
গোষ্ঠে প্রবেশিলা যাঞা।।
যশোদা রোহিণী গোপিনী সঙ্গিনী
মঙ্গলদ্রব্য সহিতে।
নানা উপহারে বস্ত্র অলঙ্কারে
গোষ্ঠে হৈলা উপনীতে।।
দিব্য আলিপনে অগোর চন্দনে
স্থান কৈলা পরিষ্কার।
দিব্য চন্দ্রাতপ নিবারি আতপ
উপরে বান্ধিল তার।।
স্থাপিল কদলী জল ঘট ভরি
সহিতে আম্রের দল।
রত্ন পীঠোপরি বৈসে রাম হরি
হৈল মহাকোলাহল।।
স্বর্ণসূত্রে করি ছান্দনের ডুরি
রত্নের দোহনভাণ্ড।
মুনিআজ্ঞামতে রামকৃষ্ণহাতে
আনন্দে দিলেন নন্দ।।
বেদ পাঠ করি ব্রাহ্মণ সকলি
করে আশীর্ব্বাদ ধ্বনি।
নর্ত্তক গায়ক ভট্টাদি যাচক
শব্দ চতুর্দ্দিকে শুনি।।
স্বর্গে সুরগণ পুষ্প বরিষণ
করিয়া সুখেতে ভাসে।
ত্রিভুবন ভরি আনন্দ সভারি
কহয়ে চৈতন্যদাসে।।