ঢল ঢল কাঁচা অঙ্গের লাবণি
অবনী বহিয়া যায়।
ঈষত হাসির তরঙ্গহিলোলে
মদন মূরছা পায়।।
সে শ্যাম নাগরে কি খেনে দেখিলুঁ
ধৈরজ রহল দূরে।
নিরবধি মোর চিত বেয়াকুল
কেন না সদাই ঝুরে।।
হাসিয়া হাসিয়া অঙ্গ দোলাইয়া
নাচিয়া নাচিয়া যায়।
নয়ানকটাখে বিষমবিশিখে
পরাণ বিন্ধিতে ধায়।।
মালতী ফুলের মালাটি গলে
হিয়ার মাঝারে দোলে
উড়িয়া পড়িয়া মাতল ভ্রমরা
ঘুরিয়া ঘুরিয়া বুলে।।
কপালে চন্দন- ফোঁটার ছটা
লাগিল হিয়ার মাঝে।
না জানি কি ব্যাধি মরমে বাধল
না কহি লোকের লাজে।।
এমন কঠিন নারীর পরাণ
বাহিরে নাহিক হয়।
না জানি কি জানি হয়ে পরিণামে
দাস গোবিন্দ কয়।।