তখন নাপিত আসি প্রভুর সম্মুখে বসি
ক্ষুর দিল সে চাঁচর কেশে।
করি অতি উচ্চর কান্দে যত লোক সব
নয়নের জলে দেহ ভাসে।।
হরি হরি কিনা কৈল কাঞ্চন-নগরে।
যতেক নগরবাসী দিবসে হইল নিশি
প্রবেশিল শোকের সায়রে।
মুণ্ডন করিতে কেশ হৈয়া অতি প্রেমাবেশ
নাপিত কান্দরে উচ্চ-রায়।
কি হৈল কি হৈল বলে ক্ষুর আর নাহি চলে
প্রাণ ফাটি বিদরিয়া যায়।।
মহা উচ্চস্বর করি কান্দে কুলবতী নারী
সভাই সভার মুখ চাহিয়া।
ধৈরজ ধরিতে নারে নয়ন-যুগল-নীরে
ধারা বহে বয়ান বাহিয়া।।
দেখি কেশ অন্তর্দ্ধান অন্তরে দগধ প্রাণ
কান্দিছেন অবধৌত রায়।
রসিকানন্দের প্রাণ সদা করে আনচান
ফাটিয়া বাহির হইয়া যায়।।