“তুমি মোর প্রাণ– পুথলি সমান
যতক্ষণ নাহি দেখি।
হৃদয় বিদরে তোর অগোচরে
মরমে মরিয়া থাকি।।
যেন বা কি ধন অমূল্য রতন
পাইয়া আনন্দ বড়ি।
ভাসি অশ্রুজলে আনন্দ-হিল্লোলে
গৃহকাজ যত ছাড়ি।।
শুনহ কানাই, আর কেহ নাই
কেবল নয়ন-তারা ।
আঁখির নিমিখে পলকে পলকে
কতবার হই হারা।।
মরু মেন যত ধেনু গাই
তোমার বালাই লয়ে।
কালি হৈতে বাপু ধেনু গোঠ-মাঠ
না পাঠাব বন দিয়ে।।
কি বলিব নন্দ তোমার যুকতি
কানু পাঠাইয়া বনে।
না জানি কখন কিবা জানি হয়
হেন লয় মোর মনে।।
বনে ভয়ঙ্কর বৈসে ভয়ঙ্কর
শার্দ্দূল ভুজঙ্গ রহে।
জানিবা কখন করয়ে দংশন
এ বড়ি বিষম মোহে।।
আনের অনেক আছে কত জন
আমার পরাণ তুমি।
ভাল মন্দ হৈলে আঁখির পলকে
তখনি মরিব আমি।।”
চণ্ডীদাস বলে– “অতি বড় স্নেহ
দেখিল যশোদা মায়।
এ না কভু শুনি জগতে না দেখি
জগতে এ দশ গায়।।”