“তুমি হিতকারী দেবতা শ্রীহরি
গোলক-ইশ্বর হঞা।
মুঞি অনাথিনী তুমা কিবা চিনি
আমার কিগুণ পাঞা।।
দেবের দেবতা পরম ইশ্বর
তুমি সে সভার মূল।
পরাৎপর জার এ মহি-মণ্ডল
চৌদ্দ ব্রহ্মাণ্ডের পুর।।
এসব জাহার বিভব অপার
অনন্ত স্তবন করে ।
কোটি ব্রহ্মা জার কটাক্ষ নিমিখে
তিলেক গড়িতে পারে।।
জোগি ফণী মণি জে পদ ধিআয়ে
কহিয়ে কহিতে নারে।
জার নাম শুনি চারু বেদ-ধ্বনি
নিরবধি নাম ধরে।।”
মায়ের বচন শুনিআ ঈশ্বর
দিল মাআ-ডোর ফেলি।
জানিল জননী ইশ্বর বলিআ
জানে দেব বনমালী।।
ইশ্বর গিয়ান জানিল-কারণ
দিলা সে মাআর ডোর।
দেব-জ্ঞান ছিল তাহা কতি গেল
পুত্র-জ্ঞানে ভেল ভোর।।
‘বাছা বাছা,’ বলে অতি কুতূহলে
“নিছনি লইআ মরি।
তোমা হেন ধনে রাখিব কেমনে
বুক বিদরিআ মরি।।”
চণ্ডিদাস বলে– “চতুর্ভুজ ছাড়ি
দ্বিভুজ হইলা পুণি।
অপার মহিমা রসের গরিমা
বড় অপরূপ বাণী।।”