ত্রৈলোক্য-আধার কৃষ্ণ নন্দের নন্দন।
কেমনে গোপিকাগণ সহিবে রমণ।।
সহিতে না পারি গোপী মাগে পরিহার।
নিবেদন করি হরি না কর বিহার।।
সহজে রমণকেলি করহ গোঁয়ার।
নাগর-সমাজে বড় হইবে খাঁখার।।
আর মোর সাধ নাই শুনহ লম্পট।
আজি সে বুঝিনু মোর বড়ই সঙ্কট।।
ছাড় ছাড় লম্পট আমার নাহি কাজ।
ভালে ভালে বলিতে কী খাইয়াছ লাজ।।
তুমি মত্ত হস্তী যত আমি ফুল খিনি।
দৃঢ় এই বিহার কত সহে কমলিননি।।
কে বলে দয়াল তোরে নিঠুর মুরারি।
যে বুঝি প্রকার আজি বধ গোপনারি
নিষ্ঠুরতা তেজ হরি রাখ ওহে তনু।
ধীরে ধীরে রমণ সহজ কর কানু।।
নখাঘাতে বিদরে নব পয়োধর।
নিরবধি দহে তনু বিষের সোসর।।
অধর নিরস হৈল ঘন বহে শ্বাস।
কখন না যায় প্রাণ তখন আয়াস।।
কহেন গোবিন্দ প্রাণ যাউক নাহি দুখ
সবে না দেখিব আর তুয়া চাঁদমুখ।।