দেখিলা নাগর নাগরী সকল
দিয়া সে রসের ভারা।
যেমন কুসুম মধুর সরসে
অলিকুল পিয়ে তারা।।
খতে খতে খতে লাখ শত শত
রমণী একেক রয়।
কানু সে লুবধ ভ্রমর যেমন
মধুপানে অতিশয়।।
মধুরসে মাতি যেন মত্ত হাতী
অঙ্কুশ নাহিক মানে।
সবারে তুষিয়া নাগর রসিয়া
করুণ বাঁশীর গানে।।
মধুর সুস্বরে বাঁশী বাজাইয়া
নাগর চতুর রায়।
গুপত পীরিতি বাঁশীর আরতি
এ কথা না জানে মায়।।
নিজ নিজ গৃহে গেলা গোপীগণ
না জানে গৃহের পতি।
যেমন যে ছিল তেমন পৈশল
ঐছন আরতি গতি ।।
যদুনাথ গেলা নন্দের মহলে
শুতলি মায়ের কোলে।
জননী না জানে এ রস-বেভার
দীন চণ্ডীদাস বলে।।