যমুনা কিনারে

নদি বহ নয়নক নীর

নদি বহ নয়নক নীর।
পললি বহএ তাহি তীর।।
সব খন ভরম গেআন।
আনি পুছিঅ কহ আন।।
মাধব অনুদিনে খিনি ভেলি রাহি।
চৌদসি চান্দ হু চাহি।।
কেও সখি রহলি উপেখি।।
কেও সির ধুনি ধনি দেখি।।
কেও কর সাসক আস।
ময়ঁ ধউলিহু তুঅ পাস।।
বিদ্যাপতি কবি ভানি।
এত সুনি সারঙ্গ পানি।।
হরষি চলল হরি গেহ।
সুমরিএ পুরুব সিনেহ।।

অন্তঃকথন:
হরিবিরহে শ্রীমতীর প্রাণ সংশয় দেখে দূতী মাধবের কাছে এসে সে সংবাদ দিয়ে বলছেন, তার চোখের জলে যেন নদী বইছে, আর নিজের চোখের জলের সেই নদীর তীরে সে পড়ে আছে! সমস্ত সময় সকল কাজে সকল কথাতেই তার ভুল হয়ে যায়। এক কথা জিগ্যেস করি তো অন্য কথা বলে। মাধব, রাই দিনে দিনে কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীর চাঁদের চেয়েও ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। কোন সখী হয়ত উপেক্ষা করে আছে। বাকিরা রাধারানীর মাথা নেড়ে গুড়িয়ে ফিরিয়ে দেখছে সে ঠিক আছে কিনা, আর কেউ কেউ অপেক্ষা করে আছে হয়তো বা নিঃশ্বাস বইবে। আমি তার এমত নির্জীব দশা দেখে তোমার কাছে দৌড়ে এলাম মাধব! কবি বিদ্যাপতি বলছেন, এই কথা শুনে শার্ঙ্গপাণি হরি রাধারানীর সঙ্গে তাঁর পূর্বপ্রেমকথা স্মরণ করে, হরষিত চিত্তে ঘরে চললেন!

পদকর্তা:বিদ্যাপতি
রাগ:অজ্ঞাত
তাল:অজ্ঞাত
সংকলন:দেবহূতি সরকার

সন্ধিনী